
বেটার কমিউনিকেশন করার ১০ টি সহজ টিপস যেগুলো আপনাকে যেকোনো কমিউনিকেশনে সফলতা আনবে

চিন্তা করেন, কারো সঙ্গে কথা বলেন বা লিখেন সবখানেই আপনার কমিউনিকেশনের কায়দা বিচার হয়। লিখিতভাবে ঠিকঠাক কথা না বলতে পারলে, অনেক সময়েই আপনার বক্তব্য হারায় গুরুত্ব। তাই এই ব্লগে শিখবেন এমন ১০টা সোজা কৌশল যা আপনাকে একজন দারুণ কমিউনিকেটর বানাতে সাহায্য করবে।
উদ্দেশ্য ঠিক করেন, তারপর লেখেন
লেখার আগে মাথায় রাখতে হবে আপনার পাঠক কী করবে এই লেখা পড়ে?
যখন কিছু লিখবেন, আগে চিন্তা করেন কেন লিখতেছেন। আপনার মেইন পয়েন্টগুলো কী? পাঠকের উপকারে আসে এমন করে সাজান।
সহজ কথায় অনেক কিছু বলা যায়
জটিল শব্দের বাহার বাদ দিন, সোজা কথায় বলেন।
কোনো লেখাকে বুঝতে কষ্ট হলে পাঠক পড়তে চায় না। তাই শব্দ ছোট রাখুন, বাক্য হালকা রাখুন।
নির্দিষ্ট ও স্পষ্ট শব্দ ব্যবহার করুন
“একজন”, “তখন”, “কিছু” এইরকম অস্পষ্ট শব্দ বাদ দিন।
যেখানে যা বলা দরকার, সেটাই বলেন। নির্দিষ্ট করে নাম, সময়, কাজ এসব বলেন।
আগে থেকে চিন্তা গুছিয়ে নিন
লিখতে বসার আগে নিজের কথাগুলো একটু গুছিয়ে নেন।
মূল পয়েন্টটা কী, তার সাব-পয়েন্ট কী? শুরুতে সমস্যা বলেন, শেষে সমাধানের প্রস্তাব দেন।
সক্রিয় ভঙ্গিতে লেখেন
“রিমা মিটিংটা চালাল” এটা ভালো, “মিটিংটা রিমার দ্বারা চালিত হয়” না।
পাঠক যেন সঙ্গে সঙ্গে বুঝে যায় কে কী করছে।
গল্প বলুন, মানুষ টানে
একটা ভালো গল্প অনেক কিছু বলে দেয়, মানুষ সেটা মনে রাখে।
নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে গল্প বলেন, একটা মূল বার্তার চারপাশে গল্প সাজান।
ছোট করে, টুকটাক করে লেখেন
৮ শব্দের নিচে বাক্য হলে সবাই বুঝে। বড় বড় বাক্য পাঠকের মাথা ঘোরায়।
একবারে অনেক কিছু না বলে, একেক বার একেক পয়েন্ট বলেন।
পাঠকের জায়গা থেকে চিন্তা করেন
আপনি না, পাঠক লেখাটা পড়বে। ওর বুঝতে সুবিধা হয় এমনভাবে বলেন।
পাঠকের যা জানার দরকার, সেইভাবে তথ্য দেন।
বারবার এডিট করেন
লেখা একবারেই পারফেক্ট হয় না। বারবার পড়ে দেখেন কোথায় ঘাটতি আছে।
প্রতিবার আলাদা জিনিস দেখে ঠিক করেন গঠন, ব্যাকরণ, শব্দচয়ন।
শেষবার দেখে নিন টাইপো ঠিক আছেন তো?
মাঝে মাঝে ছোট্ট ভুল বড় লজ্জার কারণ হয় ‘pubic’ আর ‘public’ যাই বলুন!
শেষে একটা প্রুফরিড করলে এই সমস্যা হয় না।
সব মিলিয়ে কথা একটাই…
লিখার উদ্দেশ্য থাকুক, সহজ ভাষায় বলেন, নির্দিষ্ট হন, পরিকল্পনা করে লেখেন। সক্রিয় ভঙ্গি, গল্প, সংক্ষেপ, পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গি, সম্পাদনা আর প্রুফরিডিং এই কয়টা জিনিস মাথায় রাখলে লেখায় উন্নতি হবেই।
লিখতে লিখতেই আপনি আরও ভালো হবেন। লেখার অভ্যাস আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে, আর সবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে সাহায্য করবে।
“আপনার যোগাযোগ দক্ষতা আপনার জীবনের লক্ষ্য পূরণে দারুণ এক হাতিয়ার।”
– লেস ব্রাউন