চাকরিজীবীদের পছন্দমতো বেনিফিট দিচ্ছে টেকনোলজি! জানলে অবাক হবেন
এখন সবাই চায় নিজের লাইফস্টাইল অনুযায়ী কিছু একটা সুবিধা।
আগে যেটা হতো, সব কর্মচারীকেই এক রকম সুবিধা দেওয়া হতো—যেমন অফিস ক্যান্টিন, বোনাস, কিংবা হেলথ প্যাকেজ। কিন্তু এখনকার দিনে এসব আর সবার জন্য কাজ করে না। প্রযুক্তি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন কোম্পানিগুলো চাইলে একেকজন কর্মীর জন্য আলাদা বেনিফিট প্ল্যান বানাতে পারে।
AI দিয়ে জানছে কে কী চায়
এআই আর মেশিন লার্নিং এখন বুঝে ফেলছে আপনি কী চান!
টেকনোলজির সবচেয়ে বড় অবদান হলো, এটা মানুষকে বুঝে নিতে পারে। কে কোন লাইফস্টেজে আছে, কে কী পছন্দ করে, কেমন সেবা চায়—সবকিছুর ডেটা বিশ্লেষণ করে, এরপর তাতে মানিয়ে নেয় সুবিধাগুলো। আর এতে HR টিম, বেনিফিট প্ল্যাটফর্ম আর পে-রোল সফটওয়্যার একসাথে কাজ করে।
কেবল নাম বসানো নয়, আসল পার্সোনালাইজেশন
শুধু নাম বসালেই পার্সোনালাইজড হয়ে যায় না, ভিতরটা বদলাতে হয়।
EIS-এর একজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, মানুষ এখন এত বেশি আশা করে যে, শুধু লগ-ইন করে নিজের নাম দেখা বা চ্যাটবট থেকে উত্তর পেলেই খুশি হয় না। আসল পার্সোনালাইজেশন মানে, সব ডেটা সোর্সকে মিলিয়ে, প্রোডাক্ট আর সার্ভিসকে গ্রাহকের চারপাশে সাজানো। সিস্টেমটাকে বানাতে হবে গ্রাহক আইডিকে কেন্দ্র করে।
ছোট টিমেও বড় সুবিধা দেওয়া সম্ভব
স্টার্টআপ হোক বা ছোট কোম্পানি, টেকনোলজি সবাইকে সমান সুযোগ দেয়।
Bambi NEMT এর প্রতিষ্ঠাতা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা যেমন পার্সোনাল হওয়া দরকার, তেমনি কর্মচারীদের বেনিফিটও। ডেটা আর অটোমেশন একসাথে মিলিয়ে, এমন একটা সিস্টেম বানানো যায় যেখানে কর্মচারী নিজে ঠিক করতে পারে কোন সুবিধাটা তার দরকার।
বেনিফিট যদি জীবন ছুঁয়ে যায়, তবে সেটাই কাজে লাগে
যেই বেনিফিটগুলো মানুষ প্রতিদিন ব্যবহার করে, সেগুলাই সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
মানসিক স্বাস্থ্য, পরিবারের যত্ন, সময়ের স্বাধীনতা, টাকার ম্যানেজমেন্ট—এইসব বিষয় যদি মোবাইল ফ্রেন্ডলি অ্যাপে পাওয়া যায়, কর্মচারীরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো ব্যবহার করে। শুধু অনেক কিছু দিলে হবে না, দরকার তাদের দরকারি জিনিসগুলো সহজভাবে উপস্থাপন করা।
যে যার মতো, তাই তার দরকারও আলাদা
একেকজনের লাইফস্টাইল একেকরকম, তাই বেনিফিটও আলাদা হওয়া উচিত।
একজন হয়তো ফিটনেস আর ওয়েলনেসে আগ্রহী, আরেকজন ভবিষ্যতের সেভিংস নিয়ে ভাবে, কেউবা আবার ক্যারিয়ার গ্রোথ নিয়ে চিন্তা করে। এমন সময়, ডেটা বেসড বেনিফিট প্ল্যাটফর্ম বানালে কর্মচারী নিজের মতো করে প্ল্যান সাজাতে পারে।
বেনিফিটে গেম থাকলে মজা হয়!
গেমের মতো করে দিলে কর্মচারীরাও আগ্রহ পায়।
অনেকে ভালো সুবিধা দিলেও কর্মচারীরা জানেই না। আবার কেউ জানলেও ব্যবহার করতে চায় না। তাই এখন ট্রেন্ড হলো "গ্যামিফিকেশন"—মানে ছোট ছোট চ্যালেঞ্জ, পুরস্কার, লিডারবোর্ড ইত্যাদি দিয়ে আগ্রহ বাড়ানো। AI ব্যবহার করে এখন এমন প্ল্যাটফর্ম বানানো যাচ্ছে, যেগুলো মানুষকে খেলতে খেলতে সুবিধা নিতে শেখায়।
লিগ্যাল দিকেও নজর দেওয়া জরুরি
পার্সোনালাইজেশন করতে গিয়ে যেন আইন ভাঙা না হয়।
একজন আইনজীবী জানালেন, যদি দুই কর্মী একই পদে থেকেও একে বেশি, আরেককে কম সুবিধা দেন, তাও যদি যথাযথ নথি না থাকে, তাহলে সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া কর্মচারীর ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করলে সেটা সুরক্ষিত রাখা বাধ্যতামূলক। আর অতিরিক্ত পার্সোনালাইজেশন করতে গিয়ে যেন কারও অবস্থান কন্ট্রাকটর হিসেবে ধরা না পড়ে, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।
Recent Posts
বেটার কমিউনিকেশন করার ১০ টি সহজ টিপস যেগুলো আপনাকে যেকোনো কমিউনিকেশনে সফলতা আনবে
Read more →
তুমি যা চাও তা কিভাবে পাবে?
Read more →
যে ৭টি বই তরুণ ওয়ারেন বাফেটকে ধনী হতে অনুপ্রাণিত করেছিল!
Read more →
নিজের উপর বিশ্বাস গড়ে তুলুন ৫টা ChatGPT টিপস যেগুলা জীবন বদলাইয়া দিবে
Read more →
বছরে ৫০ হাজার ডলারের চাকরির বিকল্প ৫টা সহজ সাইড বিজনেস
Read more →